আমি বাদশা, আপনি প্রজা’ এই মনোভাব ডিএমপিতে চলবে না

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমি বাদশা, আপনি আমার প্রজা। এই মনোভাব নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কেউ চাকরি করতে পারবে না’।

শনিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন তিনি।

কমিশনা র বলেন, জনগণের সঙ্গে মিশতে হবে, কাজ করতে হবে, কোনো পুলিশ সদস্য ভাব নিয়ে চললে চাকরি করতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, এই মহানগরের প্রতিটি মানুষের যে সম্মান, শ্রদ্ধা ও সুন্দর আচরণ পাওয়ার কথা সেই আচরণটি যদি কোনো পর্যায় থেকে না পান তাহলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবেন। মানুষকে যদি আমরা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে খেলাধুলায় অন্তর্ভুক্ত না করতে পারি, আমাদের সন্তানদের মাঠে নিতে না পারি, তাদের সুকুমার বৃত্তিগুলো গড়ে ওঠার সুযোগ করে না দিই, তাহলে আমাদের সন্তানদের সঠিক পথে রাখতে পারব না।

কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আপনি যদি নিজের নিরাপত্তা ও সন্তানের নিরাপত্তা চান এবং একটি বাসযোগ্য সমাজ তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি এককভাবে কখনও করতে পারবেন না। পুলিশও এককভাবে কখনও করতে পারবে না। নিজের সন্তানের নিরাপত্তার জন্য ও সন্তান যাতে একটি সুন্দর সমাজ ও পরিবেশে বসবাস করতে পারে সে জন্য পুলিশের সঙ্গে মিলে কাজ করুন। সমাজের যে বিষয়গুলো আমরা ঘৃণা করি, সমাজের সবাই মিলে আসুন তাদের বিরুদ্ধে সচেষ্ট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।

মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের করাল গ্রাস থেকে সন্তানকে নিরাপদ রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমার সন্তান আপনার সন্তান কেউই মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদসহ সমাজের নানাবিধ অপরাধমূলক কাজের প্রভাব থেকে এককভাবে মুক্ত থাকতে পারবে না। যদি না আমরা সবাই মিলে এমন একটি সমাজ তৈরি করি যেখানে তার মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে।

নাগরিকদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান তারা এক পা এগিয়ে আসুন আমরা সবাই মিলে আপনার দিকে দশ কদম এগিয়ে যাব। পুলিশের সব ভালো কাজের সঙ্গে থাকুন, ভালো উদ্যোগকে সমর্থন করুন এবং পুলিশের কোনো বিচ্যুতি চোখে পড়লে আমাদের জানাবেন আমরা সংশোধনের চেষ্টা করব এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই শহর ও দেশটা আমাদের। আমরা দায়িত্ববোধ ও মানুষের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে এসেছি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর কমিউনিটি পুলিশিংয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় কমিউনিটি পুলিশের সঙ্গে যুক্ত আটজন সাধারণ নাগরিক এবং ১৬ জন পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দফতর থেকে একটি শোভাযাত্রাও বের করে ডিএমপি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর